জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী তামিমা তাম্মির বিরুদ্ধে মামালা করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নিম্ন আদালতে তামিমার স্বামী মো. রাকিব হাসান মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তালাক না দিয়ে বিয়ে করায় তামিমা ও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করায় নাসিরের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাকিব হাসান।
২০ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয়েছিল। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
এরপরই গণমাধ্যমের সামনে আসেন রাকিব। তার সঙ্গে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমার নিকাহ নামা প্রকাশ করেন। তাছাড়া উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডিও করেন বলে জানান তিনি। গেল ২২ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন তিনি। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এইড ফর মেন’ এর পক্ষ থেকে বিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ায় লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আইন সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়। যেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নোটিশে সংযুক্ত সমস্যা সমূহের বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ওই লিগ্যাল নোটিশে স্পষ্টভাবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধও জানানো হয়ে। যা নোটিশটি হাতের পাওয়ার পর থেকে গণনা করা হবে। এমন অপরাধ দমনে একটি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে ওই লিগ্যাল নোটিশে। যদি এই সময়ের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান আইনজীবী ইশরাত হাসান।
এদিকে চাউর রয়েছে, এক বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১১ সালে বরিশালের যুবক রাকিব হাসানকে বিয়ে করেন তামিমা। বিয়ের পর তামিমার পড়াশোনার দায়িত্ব পড়ে স্বামী রাকিবের ওপর। দীর্ঘদিন পড়াশোনা করানোর পর চাকরিতে যোগ দেন তামিমা। এরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বামীকে না জানিয়েই নারায়ণগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বী অলকের সঙ্গে ৬ মাস সংসার করেন তামিমা। পরে স্বামী রাকিবের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারো সংসার ঠিক রাখেন তিনি। এরপরও রয়ে নানা বিতর্ক ।
Discussion about this post